পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Sea Crab & Piyaju at Neval Chittagong (সমুদ্রের কাকড়াঁ ও পিয়াজুঁ)

ছবি
নেভাল এ যেতে যারা পছন্দ করেন নিশ্চয় কাকড়াঁ আর পিয়াজুঁ ট্রাই করতে মিস করেন না। এমন কেউ নেই যারা একবার হলেও কাকড়াঁ আর পিয়াজুঁ টেস্ট করেননি। মাত্র ৬০ টাকায় এক প্লেট কাকড়াঁ এবং ৩০ টাকার পিয়াজুৃঁ খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টার চেয়ার এ বসে  সমুদ্রের আওয়াজ ও বাতাস উপভোগ এবং খুব কাছ হতে বিমান উড্ডয়নের দৃশ্য দেখার সুযোগ বাংলাদেশের আর কোথাও দেখতে পাবেননা। প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলে যখনি সময় পাই ছুটে যাই নেভাল এ। শুধু প্রকৃতি নয় স্বাস্থ্যসমত ফুড খেতেও যথেস্ট ভালোবাসি। নেভালে অনেক গুলো দোকান ছিলো। প্রত্যেকটি দোকানে নজর দিচ্ছিলাম কোথায় স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ভালো পিয়াজুঁ আর কাকড়াঁ রান্না হচ্ছে। বেশির ভাগ দোকান মোটামুটি ভালো রান্না করছিলো। আর কিছু দোকান পারফেক্ট মনে হচ্ছিলো না। একটা কথা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট সেটি হলো হোটেলের খোলা পানি না খাওয়ায় ভালো। মিনারেল ওয়াটার কিনে খাবেন। তো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিলো নুরু মামার হোটেলের কাকড়াঁ আর পিয়াজুঁ। নেওয়ার আগে তারা আমাকে তাদের কাকড়াঁ আর পিয়াজুঁ টেস্ট করতে দিয়েছিলো আর বলেছিলো ভালো না লাগলে অর্ডার না করতে। ট্রাস্ট মি এতোটাই ভালো লেগেছে অর্ডার না করে পারিনি। খাওয়া শেষে...

Milk Tea ( দুধ চা)

ছবি
দুধ চা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় পানীয়। বলা হয়ে থাকে দুধ চায়ের আবিস্কার হয়েছিলো মঙ্গোলিয়ানদের মাধ্যমে যা তাদের ভাষায় সূতেই চা হিসেবে পরিচিত। এক সময় মঙ্গোলিয়ানরা সরাসরি পানি পান করতেন না। কারণ পানিকে তারা পবিত্র মনে করতেন। পানির বিকল্প হিসেবে তারা সূতেই চা বা দুধ চা কে গ্রহণ করতেন।  অনেকের কাছে সিগারেট একটি নেশার মতো।  কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে বড় নেশা হলো দুধ চা। 😆 চায়ের নেশা উঠলেই আমি যে কোনো টং বা হোটেলে ডুকে পড়ি। আহ! এক চুমুক খেলেই মনে হয় যেনো আমার শরীর হতে ক্লান্তি ঝরে ঝরে পরছে। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে চা খাওয়া যেনো এক অন্যরকম মজাদার অনুভূতি। 😍 টং এর চা খুব ভালো লাগেই। তবে  স্পেশাল চা খেতে চলে যাই চকবাজার এর সাম্পান রেস্টুরেন্ট ও কাজীর দেউরী স্টেডিয়াম এর সামনে চায়ের দোকান গুলোতে। সাম্পান রেস্টুরেন্টে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে ঝাকঁজমক পরিবেশে ও আকর্ষণীয় কাপে উপভোগ করতে পারবেন দুধ চা।  আর কাজীর দেউরির ষ্টেডিয়াম এর সামনেই রাস্তার মধ্যে অসংখ্য চায়ের দোকান দেখতে পাবেন আর উপভোগ করতে পারবেন মাত্র ১০ টাকায়।যাই হোক চায়ের ব্যাপারে বলতে বলতে আমারও আবার নেশা উঠে  গেলো 😆 আর কোন...

সিঙ্গারা ও সমুসা মাত্র ২ টাকা!! Shingara & Samusa only 2 tk!!

ছবি
সিঙ্গারা ও সমুসা খেতে ভালবাসেন এ দেশের হাজার হাজার খাদ্যপ্রেমী মানুষ। তবে অনেকেই জানেন না এর উৎপত্তি ভারত কিংবা বাংলাদেশে নয়। ইতিহাস চর্চাকারীদের মতে, ফার্সি শব্দ ‘সংবোসাগ’ থেকেই সিঙ্গারা শব্দের উদ্ভব। তারা দাবি করেছিলেন গজনবী সাম্রাজ্যে সম্রাটের দরবার এ এক ধরনের লবণাক্ত মচমচে খাবার পরিবেশন করা হতো যার মধ্যে কিমা, শুকনো বাদাম আরো অনেক কিছু দেওয়া হতো। এটাই ছিলো নাকি সিঙ্গারার আদি রূপ। বিখ্যাত ইরানের ইতিহাসবীদ আবুল ফজল বায়হাকি দাবি করেছিলেন  ইরান থেকেই নাকি সিঙ্গারা এসেছে। তাঁর মতে সিঙ্গারার জন্মস্থান ইরান। আবুল ফজল বায়হাকির ‘তারিখ-এ-বেহাগি’ বইয়েও ‘সাম্বোসা’র কথা উল্ল্যেখ করা হয়েছে। আবুল ফজলের দাবি অনুযায়ী, ইরানের এই ‘সাম্বোসা’ই সিঙ্গারার আদি রূপ। আমির খসরুর রচনাতেও এর কথা উল্লেখ আছে। আর সমুচার উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বলে অনুমান করা হয়, বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্যে গেলে সমুচা খেতেন। যা পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এটি ছিলো ইতিহাস। এখন আমাদের কথায় আসি।  বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সিঙ্গারা আর সমুসা পাবেন ন...

Submarine Sandwich (সাব-স্যান্ডউইচ)

ছবি
সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ এর আদলে করা যে স্যান্ডুইচ আমরা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এ খেয়ে থাকি সেটার নাম হলো সাবস্যান্ডুইচ। ইটালিয়ান এই স্যান্ডউইচ উনিশ শতকের শেষ থেকে এবং বিচ শতকের মাঝামাঝি উত্তর-পূর্ব আমেরিকার বিভিন্ন ইতালীয় এবং আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভাবন হয়েছিল। পরবর্তীতে সারা বিশ্বে এটি সাবমেরিন স্যান্ডুইচ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। চট্টগ্রামের এখন প্রায় রেস্টুরেন্ট এ সাব স্যান্ডুইচ পাওয়া যায়। তবে আমি ট্টাই করেছিলাম চকবাজার এর "খানাঘাট" রেস্টুরেন্ট এ। স্যান্ডুইচ এ চিজ,চিকেন,সস এর পরিমাণ যথেষ্ট ছিলো।  খারাপ লাগার মতো কিছুই ছিলো না।  খুব জুসি ছিলো। যারা ফ্যাট এভয়েড করেন তারা না খাওয়ায় ভালো। যারা চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী তারা পেট ভরে খেতে পারেন।  অসুবিধা নেই 😆  মোটামোটি একটা মিডিয়াম সাবস্যান্ডুইচ এ ২০০ ক্যালোরির মতো শক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনাদের কাছে এই আইটেমটি ভালো লাগে তাহলে ট্রাই করে আসতে পারেন এই রেস্টুরেন্টে। ধন্যবাদ 😊 ঠিকানাঃ- খানাঘাট, চটেশ্বরী রোড, গুলজার টাওয়ার ফেলে রাস্তার বাম পাশে,চকবাজার মোড়,চট্টগ্রাম।  সাবস্যান্ডুইচ

কলিজা ভুনা উইথ লুচি ( Liver with luchi)

ছবি
কলিজা সবার ফেভারিট। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যতই মজাদার রেসিপি থাকুক না কেনো কলিজার মেন্যু টা প্রথমে নিতে ভুল করিনা।  তাইতো আমরা অনেকে  প্রিয়জনকে ডাকি কলিজার টুকরা বলে  😜 আমার বন্ধু সৌরভ হঠাৎ একদিন আমাকে তার রেস্টুরেন্ট "দি ক্যাফেটেরিয়া " তে কলিজা ভুনা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। ওদের কলিজা ভুনা লুচি দিয়ে টেস্ট করি। খাওয়ার পর সত্যি জিভে জল চলে এলো। নেশাখোরদের মতো হয়ে উঠলাম। ওদের শেফ এত্তো মজা করে কলিজা ভুনা রান্না করেছিলো!!  এক কথায় ফ্যান্টাসটিক 👌  বন্ধুকে আবদার করে আরও এক প্লেট নিয়েছিলাম। লুচি দিয়ে এমন করে চেটেঁ চেটেঁ খেয়েছিলাম প্লেটে একটা দাগও রাখিনি 😆 বন্ধুর রেস্টুরেন্ট তাই বলে পাম্প পট্টি মারছিনা কিন্তু 😂 আপনি যদি কলিজা লাভার হয়ে থাকেন তাহলে ট্রাই করে আসতে পারেন " দি ক্যাফেটেরিয়া" রেস্টুরেন্টে। ভালো না লাগলে আর যাবেন না। তবে আশা করি নিশ্চয় আপনি সার্থক হবেন । ধন্যবাদ।  ঠিকানাঃ- দি ক্যাফেটেরিয়া। কেয়ারী ইলিসিয়ামের পাশের গলি। পিটস্টপ বেকারীর সামনে,চকবাজার,চট্টগ্রাম।  ক্যাফেটেরিয়া কলিজা ভুনা উইথ লুচি

Sahabi Shahi Halim ( সাহাবি শাহী হালিম)

ছবি
আপনারা গরুর নলা খেয়েছেন আর হালিম ও খেয়েছেন অসংখ্যবার।  আমি এই দুটি ফুড নিয়ে আমার ব্লগেও লিখেছি। কিন্তু নলা হালিম একসাথে খেয়েছেন কখনও?? নিশ্চয় না।  শুনতে অবাক হলেও সত্য সেই রেসিপি তৈরী করেছেন মোঃ সালাউদ্দিন নামে এক হালিম বিক্রেতা। তার গ্রামের বাড়ী লাক্সাম এ। কথা বলে জানতে পারি চট্টগ্রামে ফুটপাথে এই ব্যবসায় নামার আগে তিনি ছিলেন ঢাকা শহরে। ঢাকার পান্থপথের বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৬ এ ভাড়ায় নেওয়া  একটি মোবাইল এক্সেসরিস এর দোকান ও ছিলো তার। কিন্তু সেই ব্যবসায় বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি। বড় লোকসান হয় তার। অতঃপর চট্টগ্রাম এর ওয়ারল্যাস মোড় এর টি এন্ড টি অফিসের গেইট এর সামনের ফুটপাতে "সাহাবী শাহী হালিম" নাম দিয়ে শুরু করেন তার ব্যবসা। আল্লাহর রহমতে তিনি এখন  ব্যবসায় একদম সফল। সফল হওয়ার চাবিকাঠি আমার মতে একটাই সেটি হলো তার এই হালিম এ রয়েছে এক ধরনের রহস্যময় স্বাদ যা অন্য কোনো ফুটপাতের হালিমে পাওয়া অনেকটা দুস্কর। আজ এক কাছের বন্ধুকে নিয়ে দূর থেকে চলে গিয়েছিলাম নলা হালিম উপভোগের জন্যে। সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে। মন্তব্য করার মতো কিছুই ছিলোনা। তার আচার ব্যবহারও ছিলো যথেষ্ট ভালো।...

Chicken Chap (চিকেন চাপ)

ছবি
মানুষ জীবনে কতইনা চাপ খেয়ে থাকে।  যেমনঃ- পড়াশুনার চাপ, পারিবারিক চাপ, ক্যারিয়ারের চাপ। কিন্তু আমি  যতই চাপ খাইনা কেনো আর একটি চাপ খাইতে খেতে খুব ভালো লাগে।  সেটি হলো চিকেন চাপ 😜 নিশ্চয় চিকেন চাপ প্রায় সকলের কাছে সুপরিচিত এবং অনেকে অনেক জায়গায় ট্রাই করে ফেলেছেন।  যারা চিকেন চাপ এখনো ট্রাই করেন নি বা এটি সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে বলছি এটি বিশেষ কিছু  নয়। জাস্ট ফ্রাই বা রান্না করা মুরগীর পিসকে খুন্তি বা কোনো বস্তু দিয়ে চাপ দিয়ে তেতঁলিয়ে পরিবেশন করাকে চিকেন চাপ বলে। সো আমার পেটে যখন খিদের চাপ আসে তখন ছুটে যাই চট্টগ্রামের ফিনলে স্কোয়ার এর "Crush Cafe" রেস্টুরেন্টে। রসালো সস আর স্পাইসি মশলার সমন্বয়ে বানানো ক্রাশের চিকেন চাপ আর নান  খেয়ে আমি সত্যি স্যাটিসফাইড 👌  তবে তাদের বলতে চাই একটু চিনির পরিমাণ টা কম দিলে ভালো হয়।  সো উপভোগ করতে চাইলে ট্রাই করে আসতে পারেন ক্রাশ ক্যাফে তে।  সম্ভবত তাদের তিনটি শাখা আছে।  একটি চট্টগ্রামের ফিনলে স্কোয়ার এর ফুড কোর্টে আর বাকি দুটি চকবাজার এ।  ঠিকানাঃ- Crush Cafe, ২নং গেইট এর ফিনলে স্কোয়ার শপ...

Fuchka ( ফুচকা)

ছবি
আজ আমি আলোচনা করবো মেয়েদের ফেভারিট ফুচকা নিয়ে। 😜 ফুচকা দক্ষিণ এশীয জনপ্রিয়  মুখরোচক খাদ্যবিশেষ। বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় সব জায়গায় এই খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে। তবে  এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। সারা বাংলাদেশ এ এর নাম "ফুচকা", উত্তর ভারতে এটির পরিচিতি গোল-গাপ্পা হিসেবে , আবার পশ্চিম ভারতে, এই খাবারটির নামই পানি-পুরি। তো যাই হোক ফুচকার প্রতি আমার তেমন লোভ ছিলোনা বললে চলে। হঠাৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক আপুর সাথে দেখা করতে যাই ওখানে। হঠাৎ কথা উঠলো ফুড নিয়ে। আপু বললেন তোমাকে তো ফেসবুক এ প্রায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এ খেতে দেখি। তো আজ তোমাকে একটা মজাদার জিনিস খাওয়ায় ছাড়বো।  আমি প্রশ্ন করলাম জিনিস টা কি!! আপু বললেন ফুচকা। 😆  তখন আমি বিরক্তি সহকারে বললাম আপু আমি তো ফুচকা তেমন একটা পছন্দ করিনা ।  তখন আপু বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিখ্যাত সিরাজ মামার ফুচকার নাম তো শুনেছো? ট্রাই করে দেখো একবার। ভালো না লাগলে খেও না।  আপুর রেকুয়েস্ট এক প্লেট নিলাম। চোখ বন্ধ করে এক পিস মুখে ডুকিয়ে দিলাম। বাহ! খেয়ে দেখি সত্যি অসাধারণ টেষ্ট 👌 👌 রাক্ষুসের মতো পুরা প্লে...

গরুর নলার পায়া

ছবি
আজ আলোচনা করবো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার গরুর নলার পায়া নিয়ে।  গরুর পায়া খেতে কার না মন চাইনা?? সে গরুর নলার পায়ার ভিতরের মগজ সদৃশ অংশটি বের করে খেতে কতইনা প্লেট ভেঙেছি তার কোনো হিসেব নেই 😆সত্যি বলতে এখন ঘরে গরুর নলার পায়া সবসময় তেমন একটা রান্না হয় না। বিশেষ করে কোরবানীর সময় গরুর পায়া ও ঝোল দিয়ে রুটির সাথে চুবিয়ে চুবিয়ে খাওয়া আহ! কতোই না ভালো লাগে। তবে এখন কোনো বিশেষ দিনের জন্য গরুর নলার পায়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়না। এখন হাত বাড়ালেই চট্টগ্রাম শহরের প্রায় অনেক হোটেল এ গরুর নলার পায়া পাওয়া যায়। যখন আগ্রাবাদ যাই এক্সেস রোডের ক্যাফে নুর হোটেলের পায়া মিস করতে ভুল করিনা।  তাছাড়া বিখ্যাত হোটেল দস্তগীরের নলা তো আছে 👌👌👌  তবে সমস্যা একটা সেটা হলো দস্তগীরের নলা খেতে হলে সকাল ৫ টায় আপনাকে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া অন্য সময় পাওয়া মোটেই সম্ভব নয়। যাই হোক একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই সেটা হলো যারা হৃদরোগে বুগছেন বা শরীরে কোলেষ্টেরল এর পরিমাণ বেশী তাদের নলা এড়িয়ে চলা ভালো।  তো নলাপ্রেমীরা মজাদার নলা খেতে চাইলে চলে যেতে পারেন হোটেল দস্তগীর কিং বা ক্যাফ...

Vegetable Soup ( সবজী স্যুপ)

ছবি
আজ আমি আলোচনা করবো তরল খাবার স্যুপ নিয়ে। বিশ্বের সকল মানুষের কাছে স্যুপ একটি জনপ্রিয় খাদ্য। খ্রিস্ট পূর্বে  অর্থাৎ ৬০০০ বছর আগে প্রথম স্যুপ বানানো আবিস্কার হয়। স্যুপ শব্দটি এসেছে ফরাসী ভাষা " স্যুপে "শব্দটি হতে। ১৭৭২ সালের একটি জনপ্রিয় রান্নার বই ফ্রুগাল হাউজওয়াইফে আমরা একটা পুরো চ্যাপ্টার দেখতে পেয়েছিলাম স্যুপ নিয়ে। নানা দেশের স্যুপও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অভিবাসীদের মাধ্যমে। ১৮ শতকে বহন যোগ্য স্যুপ আবিষ্কার হয়। জাপানি মিশো স্যুপ এ ধরনের একটি স্যুপ। বিভিন্ন প্রকার স্যুপে কম-বেশি পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। বিশেষ করে যেসব স্যুপ শাক-সবজির  হয়ে থাকে, সেগুলোর স্বাস্থ্যগত উপকারিতার জন্য পুষ্টিবিদেরাও সেসব স্যুপ খেতে উৎসাহিত করে থাকেন, বিশেষ করে ডায়েটের জন্য। পানিতে সিদ্ধ করা হয় বলে ফল-মূল ও শাক-সবজির পুষ্টি উপাদানগুলো পানিতে মিশে যায় এবং সেগুলো সহজেই গ্রহণ-উপযোগী হয়। কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলো রান্না করা হলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় বা কমে যায়। কিন্তু স্যুপের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সবজীর স্যুপ আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। 😍 যখনি স্যুপ খেতে ইচ্ছে করে ছুটে যাই মোমিন রোডের সাফরান রেষ্টুরেন...

Burger Festival Hotel Le Meridian ( বার্গার উৎসব হোটেল লে মেরিডিয়ান)

খাদ্যপ্রেমীদের জন্যে একটু ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ঢাকার খ্যাতনামা হোটেল লে মেরিডিয়ান। এবারের আয়োজনে থাকছে দৈত্যাকার বার্গার আর প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী বিজয়ী হতে হলে ৩০ মিনিটেই সাবাড় করতে হবে দুই কেজি ওজনের বার্গার। দুই সপ্তাহব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে গত ৫ জুলাই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় লে মেরিডিয়ান কতৃপক্ষ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সবার জন্যেই উম্মুক্ত। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে যে কোনো দিন হাজির হয়ে লে মেরিডিয়ানের ওলেয়া রেস্টুরেন্টে অর্ডার করতে পারবেন এ দৈত্যাকার বার্গারটি। পরিবেশন পরবর্তী ৩০ মিনিটেই বার্গারটি খেয়ে নিতে পারলেই মিলবে বিজয়ীর মুকুট। বিজয়ী প্রতিযোগী পাবেন দেশসেরা বার্গারভোগের মানপত্র আর বিজয়ীর বার্গারটির জন্যে প্রদান করতে হবে না কোন মূল্য। আর যদি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেও বার্গারটি শেষ করতে ব্যর্থ হন তাহলে বার্গারটির মূল্য পরিশোধ করতে হবে পুরোপুরি যা কিনা চার হাজার ৯৯৯ টাকা মাত্র। 😃 😃

হ্যামবার্গার (Humburger)

ছবি
বন্ধুরা,  আজ আমি আলোচনা করবো জনপ্রিয় ফুড হ্যামবার্গার নিয়ে। স্যান্ডউইচ সদৃশ জাতীয় খাদ্য বার্গার আমাদের সকলের কাছে জনপ্রিয়। হ্যামবার্গার" শব্দটি এসেছে জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হ্যামবুর্গ থেকে। জার্মান ভাষায় "Burg" অর্থ "দূর্গ", আগে এর দ্বারা শহর বা উপশহর বোঝানো হতো।  বিশ্বে বিভিন্ন পশুর মাংস দিয়ে  বার্গার তৈরী হলেও আমাদের দেশে বার্গার গরুর মাংস আর মুরগীর মাংস এই দুটি উপাদান দিয়ে তৈরী হয়। ১০০ গ্রামের একটি বার্গার এ ২৯৫ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। কম মূল্যে  খুব মজার একেবারে রসালো অথেনটিক বার্গার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়ে ছিলো চট্টগ্রামের দুটি জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্ট "The Serial Griller এন্ড " Burgerita" তে। চিকেনের পরিমাণ যথেষ্ট ছিলো,সাথে চিজের পরিমান ও বেশি ছিলো। এক কথায় পয়সা উসুল। তবে সবচেয়ে বেশী আকর্ষন করেছে "The Serial Griller" এর ব্ল্যাক বার্গার। নিজস্ব ফ্যাক্টীরিতে তারা বান উৎপন্ন করে।  So দেরী না করে বার্গারপ্রেমীরা নিশ্চিন্তে ডিলিসিয়াস  বার্গার খেয়ে আসতে পারেন এই দুটি রেষ্টুরেন্ট        ,এ্যাডড্রেসঃ বার্গারিটা(Burge...

রামেন নুডুলস ( Ramen)

ছবি
বন্ধুরা আজ আমি আলোচনা করবো জাপান এর জনপ্রিয় নুডুলস রামেন নিয়ে। রামেনের উৎপত্তি বলতে গেলে এখনো অস্পষ্ঠ। কিছু উৎস হতে জানা যায় এটি চীন থেকে উৎপত্তি পেয়েছে। অন্যান্য উৎস বলে এটি জাপানে বিশ শতকের প্রথম দিকে আবিষ্কার করা হয়। রামেন শব্দটি জাপানী যেটি চীনা শব্দ লামিয়ান থেকে ধার করা। চীন- জাপান এর যখন যুদ্ধ চলছিলো তখন জাপানীরা চীনের রন্ধনশৈলী সম্পর্কে  ধারণা নিয়ে ফেলে এবং পরবর্তিকালে তারা পুরো জাপানজুড়ে চাইনিজ রেস্তোরা দিতে শুরু করে। রামেন খাওয়া যখন জনপ্রিয়। সত্যি বলতে রামেন নুডুলস এখনো চট্টগ্রাম শহরে অনেকের কাছে পরিচিত নয়।   তবে মজাদার রামেনের স্বাদ নিতে চাইলে সোজা চলে যেতে পারেন চট্টগ্রাম শহরের জনপ্রিয়  দি সিগনেচার ( Da Signature)  রেস্টুরেন্ট এ ঠিকানাঃ Da Signature জামাল খান (সেনসিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর বিপরীত পাশে) চট্টগ্রাম।  নারুটো রামেন 😍

Hello!! ✋ ✋

ছবি
Assalamualykum..Thank you all for entering my blog. My name is Syed Yasir Samit. I am a social Activist  and I am a foodie as well. Whenever the money comes in pocket, I go back to the popular restaurants. I like eating street food too. Hope you find regular updates on the popular street food and restaurant food in Chittagong city on my blog. Thank you all for being with me.